সুদানে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। দেশের উত্তর দারফুরের শহর আল-ফাশিরে আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মীদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে আল-ফাশির রেজিস্ট্যান্স কমিটি জানিয়েছে, অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রের ক্যারাভানে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। সেখানকার শিশু, নারী, প্রবীণ সবাইকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।
তারা আরও জানায়, একই আশ্রয়কেন্দ্রকে দু’বার ড্রোন হামলা ও আটবার গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দারফুর অঞ্চলে সুদানের সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরএসএফ। সেই লক্ষ্যে তারা দীর্ঘদিন ধরে আল-ফাশির শহর অবরোধ করে রেখেছে। এ অবরোধে শহরে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ ক্ষুধা ও রোগব্যাধি। ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
সংগঠনটি দাবি করেছে, শত শত বেসামরিক নাগরিক এসব হামলায় নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিজেদের ঘরবাড়ি ও মহল্লায় বাংকার খুঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন তারা।
সংগঠনটির হিসাবে, শহরে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন নাগরিক সহিংসতা, ক্ষুধা ও রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন।
২০২৩ সালে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের ক্ষমতা দখলের সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সুদানে কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশির এখন এই গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে