সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল - BNF24 সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল - BNF24
  • শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন

সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রশাসন যে নিরপেক্ষ, সে ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে। সচিবালয় ও জেলা প্রশাসনে ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বিচার বিভাগে ফ্যাসিস্টদের দোসর সরিয়ে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের মধ্যে দলীয় লোক থাকলে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছি।’

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন। অন্য দুই সদস্য হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম, আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠানকে অর্থবহ নিরপেক্ষ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের আদলে নিতে হবে।”

‘‘অর্থাৎ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বলতে আমরা যা বুঝাই— তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে— প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষভাবে তৈরি করতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ করে সেক্রেটারিয়েটে যারা এখনও আছেন, যাদেরকে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হয়, তাদেরকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।”

‘‘আমরা বলেছি যে, জেলা প্রশাসন বিশেষ করে সেখানেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং আমরা কিছু কিছু কথা বলে এসেছি— যেগুলো আমরা মনে করি, তারা এখনও সেই ফ্যাস্টিস সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। সেজন্য তাদেরকে অপসারণের কথা আমরা বলেছি।”

‘পুলিশ ও বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষকরণ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যেসব পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে বা যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলে এসেছি।”

‘‘পাশাপাশি আমরা বলে এসেছি—বিচার বিভাগে বিশেষ করে হায়ার জুডিশিয়ারিতে এখনও ফ্যাসিস্টদের যেসব দোসর আছেন, তাদেরকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা জুডিশিয়ারি ব্যাপার। তারপরেও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সব সবকিছুর দায়িত্বে আছেন, তার কাছে আমরা আমাদের সেই কনসার্নগুলো জানিয়ে এসেছি।”

‘অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কথাও আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনও দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি—এটাই ছিল প্রধান মূল কথা।”

কোনও উপদেষ্টার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব এই বিষয়ে ‘না’ সূচক জবাব দেন।


এ রকম আরো সংবাদ...

Unicode to Bijoy Converter