নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত ঋণের টাকা ছাড়বে না আইএমএফ - BNF24 নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত ঋণের টাকা ছাড়বে না আইএমএফ - BNF24
  • শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত ঋণের টাকা ছাড়বে না আইএমএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে আর কোনো ঋণ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, ষষ্ঠ কিস্তির প্রায় ৮০ কোটি ডলার ছাড় করতে হলে নতুন সরকার গঠনের পর তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বার্তা দেয় সংস্থাটি। গভর্নর জানিয়েছেন, চলতি ডিসেম্বরেই ঋণের কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইএমএফ তা দিতে রাজি নয়।

তবে গভর্নরের মতে, “দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি স্থিতিশীল, ডলারের বাজারও নিয়ন্ত্রণে। আইএমএফ-এর সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আইএমএফ যদি অতিরিক্ত কঠিন শর্ত আরোপ করে, বাংলাদেশ তা মানবে না। এখন পরিস্থিতি আগের মতো সংকটাপন্ন নয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে ঋণ কিস্তি না ছাড়ার সিদ্ধান্ত আসলে একটি কৌশলগত বার্তা—বাংলাদেশ এখনও সংস্কারের শর্ত পূরণে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। নতুন সরকার গঠনের পর আইএমএফ তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে তারপর ঋণ ছাড় করতে চায়।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ একই ধরনের অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি ২০২২ সালে কঠোর শর্তে জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকারকে তেল ও গ্যাসের দাম বাড়াতে বাধ্য করেছিল সংস্থাটি। এর প্রভাবেই দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।

আইএমএফ-এর ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসছে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল। দুই সপ্তাহের এই সফরে তারা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। সফর শেষে তারা তাদের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন, যা কিস্তি ছাড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২১৪ কোটি ডলারে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আছে। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে, যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলার করে। এর মধ্যে পাঁচ কিস্তিতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেয়েছে ৩৬০ কোটি ডলার।


এ রকম আরো সংবাদ...

Unicode to Bijoy Converter